Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে রাজধানী শহর ঢাকা হতে ১৬০ কিলোমিটার দূরত্বে মগড়া, কংস, ধনু ও সুমেশ্বরী ইত্যাদি নদী-নালা বিধৌত ও অসংখ্য হাওর-বাওড় বেষ্টিত গারো পাহাড়ের পাদদেশে নেত্রকোণা জেলা। জেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড়, দক্ষিণে কিশোরগঞ্জ জেলা, পূর্বে সুনামগঞ্জ এবং পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা। জেলাটি ১০টি উপজেলা, ৫টি পৌরসভা, ৮৬টি ইউনিয়ন এবং ২২৮১টি গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত। জেলার মোট আয়তন ২৭৯৪.৩৮৪৩ বর্গ কিঃ মিঃ। ৪ টি কৃষি পরিবেশ অঞ্চল। যেমন-পুরাতন ব্রহ্মপুত্র প্লাবনভূমি (এইজেড-৯) ৫৪%, উত্তর-পূর্ব পাদভূমি (এইজেড-২২) ২৫%, সিলেট বেসিন (এইজেড-২১) ১৯% এবং উত্তর-পূর্ব পাহাড়ী অঞ্চল (এইজেড-২৯) ২% নিয়ে গঠিত এ জেলার নীট আবাদী জমির পরিমাণ ২,১৭,১৯৩ হেঃ। তার মধ্যে উঁচু জমি শতকরা ১৫.৪১ ভাগ, মাঝারী উঁচু জমি শতকরা ৩৫.৫৫ ভাগ, মাঝারী নিচু জমি শতকরা ২৩.৭৯ ভাগ ও নিচু জমি শতকরা ২৫.২৫ ভাগ।
নেত্রকোণার মাটি ধান উৎপাদনে সমৃদ্ধ। বর্তমানে ফসলের নিবিড়তা ১৮৭.৪০%। বোরো মৌসুমের শেষভাগে পাহাড়ী ঢলে আকষ্মিক বন্যার ঝুকি থাকা সত্ত্বেও এ জেলার বোরো উৎপাদন দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শীত মৌসুমের চাষাবাদ ভূ-গর্ভস্থ সেচের পানির উপর নির্ভরশীল। শাকসব্জি উৎপাদনের দিক থেকে এ জেলা পিছিয়ে থাকলেও বর্তমানে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় উফশী ও হাইব্রিড বিভিন্ন ধরণের শাক-সব্জি উৎপাদন হচ্ছে যা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নেত্রকোণা  বিনা, বারি, ব্রি সহ অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারী সংস্থার সাথে কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে একসাথে কাজ করে যাচ্ছে। নব উদ্ভাবিত প্রযুক্তি অবহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় চাষীদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান; সুষম সার ব্যবহার; গুটি ইউরিয়া ও এলসিসি ব্যবহার; বোরো জমিতে পর্যায়ক্রমে পানির অপচয়রোধে ভিজানো ও শুকনা প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সেচ খরচ কমানো; সমন্বিত বালাই দমন কার্যক্রম সম্প্রসারণ; চাষীদের মাধ্যমে বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিনিময় করে বীজ সহজলভ্য করা নিশ্চিতকরণ; উদ্যান ফসলের চাষ স¤প্রসারিত ও আধুনিকায়ন; কৃষির যান্ত্রিকীকরণ প্রভৃতি কার্যক্রম সাফল্যের সাথে এগিয়ে চলছে। নেত্রকোণা জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে কৃষির সর্বাধিক উন্নয়ন তথা কৃষকের আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।